বুধবার সকালে ব্রিজ পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ হাজার পরিবারের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ।
এছাড়া বন্যায় ১০০ হেক্টর আমন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এদিকে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চলছে তীব্র ভাঙন। ধরলার ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের মালভাঙা এলাকার ১৬ ভেন্টের স্লুইসগেটও হুমকির মুখে পড়েছে। স্লুইসগেট সংলগ্ন বাঁধ বিলীন হলে কুড়িগ্রাম-উলিপুর সড়ক তলিয়ে যাবে। সেই সাথে প্লাবিত হতে পারে উলিপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।
তিস্তার তীব্র ভাঙনে এরইমধ্যে উলিপুরের থেতরাই, চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল কাশিমবাজারে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ছাড়াও, যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কের তিন মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও অন্তত ৩০টি বাড়ি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী ২-৩ দিন পানি আরও বাড়তে পারে। এরপর তা কমে আসবে। নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী ১০০ হেক্টর আমন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, হঠাৎ করে ধরলা নদীতে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধি হয়েছে। এর ফলে আবারও বন্যার কবলে পড়েছে ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য বলা হয়েছে।